আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মাওয়া রেল স্টেশনে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( রোলিং স্টক) পার্থ সরকার, পদ্মা সেতু দুই পারের সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
উদ্বোধনের পরের দিন থেকে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচলের সূচনা হবে। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এর আগে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা-মাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। এবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। এর জন্য চীন থেকে কেনা নতুন সাতটি কোচের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।
যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণসহ পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে জুনের মধ্যে শেষ হবে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ শতাংশ।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত তিনটি অংশে রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন, ঢাকা-গেণ্ডারিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন, লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-কানেকশসসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর-গেন্ডারিয়া-ভাঙ্গা জংশন পরিদর্শন করেছেন। সবকিছু ইতিবাচক করে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে রেলমন্ত্রীর এই পরিদর্শন কর্মসূচি বলছে রেলকর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ বর্তমান সরকারের একটি মেগা প্রকল্প। সেতু দিয়ে সড়ক পরিবহন নিশ্চিত করার পরেই রেল যোগাযোগের কর্মসূচি সরকার হাতে নেয়।
