জাতীয় চিড়িয়াখানার এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হয়ে আসছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘ ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় অতিথি হয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া জলহস্তী আসার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, কুমিরের আগের জায়গায় নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি জলহস্তীর বসস্থান। আর কুমিরের খাঁচা স্থানান্তর করে পাহাড়ের পশ্চিম পাশে লেকের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে কুমিরের নতুন খাঁচা। জলহস্তী যুক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২০টিতে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতেই নতুন নতুন প্রাণির সংযোগ করা হচ্ছে। প্রাণিদের জন্য বাড়ানো হচ্ছে খাঁচা। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অনেকগুলো বাঘ আছে তাই তাদেরকে এক জোড়া বাঘ দেওয়া হচ্ছে। তার পরিবর্তে তাদের থেকে আমরা এক জোড়া জলহস্তী আনার অনুমতি পেয়েছি। এর আগে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য আনা হয়েছে ম্যাকাউ, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, ওয়েলবিস্ট, লামাসহ অনেক প্রাণি।
চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে। এরমধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণি আছে; যোগ করেন শুভ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মোহাম্মদ বলেন, ৩৪ বছর বয়সী এই চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণি আছে। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। প্রতিদিন এই চিড়িয়াখানায় ৪-৫ হাজারের মতো দর্শনার্থী আসছেন। আর শুক্র ও শনিবারসহ যে কোন বন্ধের দিনে তা ১০ হাজার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। জলহস্তী যুক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণির সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২০টিতে।
