কয়েক মাসের প্রস্তুতির পর ভারত ১৮তম জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। শনিবার থেকে অনুষ্ঠেয় এই বিশ্ব ইভেন্টে যোগ দিতে বিশ্ব নেতারা নয়াদিল্লিতে পৌঁছতে শুরু করেছেন। ভারত এই প্রথমবারের মতো এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এবারের সম্মেলনে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ওয়ার্কিং গ্রুপ (এসএফডব্লিউজি) কার্যকর করা হচ্ছে যার লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী টেকসই অর্থ সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার উপায় হিসাবে সবুজ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও অর্থনীতির দিকে পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রাখা।
গ্রুপটিকে টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক এবং বাজারের বাধাগুলো চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে এই ধরনের বাধাগুলো অতিক্রম করার বিকল্প রাখা যায়।
এদিকে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের অতিথি এবং প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে নতুন দিল্লি বিমানবন্দরে ইতোমধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বিঘ্ন ও ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য বিশেষ করিডোর প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই আয়োজনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি সরকারের একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রোববার পর্যন্ত নয়াদিল্লী ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাকে ‘নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল’ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতীয় এয়ার ফোর্সের জঙ্গিবিমানগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং নয়াদিল্লীর আকাশসীমায় যে কোন ধরনের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সমস্ত ক্লাউট কিচেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বাজার, খাদ্য সরবরাহ ও বাণিজ্যিক বিতরণ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সুইগি, জোমাটো, অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের মতো পরিষেবাগুলো থেকে ডেলিভারির অনুমোদন দেয়া হবে না।
তবে ওষুধ ও অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত।
এছাড়া, শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিকে অভিনবরূপে সাজানো হয়েছে। বিশ্বনেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে মূল সড়কগুলো বিশাল বিশাল থিম্যাটিক জি২০ লোগো, স্বাগতম বিলবোর্ড এবং আধুনিকতার আদলে ভারতীয় সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা শিল্পকর্ম দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ দিল্লির বিভিন্ন গাছপালা প্রায় ৭ লাখ ফুল এবং পাতাবাহারে সাজিয়ে শহরটিকে একটি নান্দনিক রূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ভাস্কর্য এবং বহুরূপী নকসার দেড় শতাধিক ফোয়ারা স্থাপন করেছে।