ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী দ্বীপিতা চাকমাকে অপহরণের পর মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে যায় দানপ্রিয় চাকমা। পুলিশ জানায়. দানপ্রিয় চাকমা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। কেন তাকে অপহরণ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটির পুলিশ রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত যুবককে আটক করে যৌথ বাহিনী। সাজেক ইউনিয়নের দাড়িপাড়া গ্রামের অনিল কুমার চাকমার ছেলে দানপ্রিয় চাকমা।
এসপি মীর আবু তৌহিদ জানান, গতকাল (বুধবার) দ্বীপিতাকে উদ্ধারের পর রাতে দানপ্রিয় নামে একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। দানপ্রিয় অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার তদন্ত চলছে। অপহরণে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আজই (বৃহস্পতিবার) আটক দানপ্রিয় চাকমাকে আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ঢাবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মারুফ হাসান রুমীর নেতৃত্বে বিভাগের ৩৪ জন শিক্ষার্থী সাজেকের পথে রওনা দেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সাজেকে শিজকছড়া নামক স্থানে শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়ি (চাঁদের গাড়ি) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থামানো হয়। এ সময় হঠাৎ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ‘পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’ উপস্থিত হয়ে গাড়িতে কোনো পাহাড়ি শিক্ষার্থী আছে কি না, তা জিজ্ঞাসা করে ও নিরীক্ষণ করে।
এসময় পাহাড়ি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তারা দ্বীপিতা চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের একাধিক টিম।
অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর দ্বীপিতাকে সাজেক থানার দাড়িপাড়া বুনো আদম নামক স্থান থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সাজেক থানা পুলিশ। দ্বীপিতা চাকমা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বাসিন্দা স্মৃতেন্দু বিকাশ চাকমার মেয়ে।