বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে সরকার দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করার কথা জানান তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন মাহিন।
এদিকে সমন্বয়ক মাহিনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লিখেছেন, আমি আমার ভাই মাহিনের পক্ষে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে। (হ্যাশট্যাগ) আইএমউইথমাহিন।
এর আগে মাহিন সরকার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন নগন্য অংশীদার হিসেবে আমি মাহিন সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভিক্টিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (১৭ই ডিসেম্বর) আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করব। আমার সঙ্গে যদি কেউ না-ও যায়, এমনকি পুরো বাংলাদেশের একজনও যদি আমার পক্ষে না থাকে তবুও আমি আমার এই দৃঢ় অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটবো না।
মাহিন আরও লিখেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারা হলো এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটি চরম ব্যর্থতা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে এই সরকার দেশের তামাম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যা স্পষ্টতই প্রহসনের শামিল।
তিনি আরও লেখেন, একাত্তরে বাংলাদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার অর্জিত বিজয়কে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত তাদের নিজেদের জয় বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে অবহেলা করা এবং ভারতের এমন ইতিহাস বিকৃতির স্পষ্ট প্রতিবাদ না জানানো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
মাহিন আরও উল্লেখ করেন, কোনো ভিনদেশী পরাশক্তি কিংবা হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় আসীন হওয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারও যদি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবুও আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আমৃত্যু লড়ে যাব। এই বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সংস্কার কার্যক্রম কিংবা কমিশন গঠনের নামে দীর্ঘসূত্রিতার কোনো পদক্ষেপকে আমি গ্রাহ্য করব না। আগামীকাল সকাল ১১টায় সচেতন ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু।