পাহাড়ি ঢলে লেকের পানির উচ্চতা বেড়ে ডুবেছে রাঙামাটির আলোচিত ঝুলন্ত সেতু। সরে গেছে সেতুর পাটাতানের কয়েকটি কাঠ। ঝুলন্ত সেতুর এমন হালের দৃশ্য দেখে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন জেলা থেকে আসা পর্যটকরা। পর্যটক মো. নাঈম উদ্দিন বলেন, অনেক আশা নিয়ে রাঙামাটি বেড়াতে এলাম। এসে দেখি ঝুলন্ত সেতুটি অনেকাংশে ডুবে আছে। হতাশা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।
রাঙামাটি পর্যটন নৌযান ঘাটের ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. রমজান আলী জানান, সেতুটি ছয় ইঞ্চি পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবুও কেউ কেউ ডুবে যাওয়া পাটাতন মাড়িয়ে সেতু পার হচ্ছে।
দেখা গেছে, সেতুতে ওঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিশ ও লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ডুবন্ত সেতুতে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সেতুটি তৈরি করার সময় হ্রদের রুল কার্ভ মেনে তৈরি না করায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এটি ডুবে যায়
কাপ্তাই কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্যমতে, কাপ্তাই বাঁধের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। কিন্তু ১০৫ এমএসএল হলেই ডুবে যায় এই সেতু।
এদিকে ব্রিজ ডুবে যাওয়ার খবরে ইতোমধ্যেই কমতে শুরু করেছে পর্যটক সমাগম। যারা আসছেন তারাও জানাচ্ছেন তাদের হতাশার কথা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক অলক বিকাশ চাকমা বলেন, ব্রিজে পানি উঠাতে আমরা আপাতত পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে পানি কমে যাবে। তখন আমরা আবার পর্যটকদের জন্য ব্রিজ উন্মুক্ত করে দেব।
ঝুলন্ত ব্রিজ সংলগ্ন পার্কে স্থানীয় পাহাড়ি পণ্য বিক্রেতা বিবেক মারমা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা আসলে অথবা বর্ষার শেষে ব্রিজটি ডুবে যায়। আমাদের ব্যবসাগুলো ট্যুরিস্টদের ওপর নির্ভরশীল। এমনিতে এই বছর আমরা তেমন ব্যবসা করতে পারিনি। এখন যদি আবার পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায় তবে তা আমাদের জন্য খুবই ভয়ানক হবে।