Google search engine
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকইসরায়েলের দখলে সিরিয়ার গোলান মালভূমির বাফার জোন

ইসরায়েলের দখলে সিরিয়ার গোলান মালভূমির বাফার জোন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, তার সেনাবাহিনী গোলান মালভূমির অসামরিক বাফার জোন সাময়িকভাবে দখলে নিয়েছে। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর গোলানে ইসরায়েল অধিকৃত এলাকা থেকে বাফার জোন এবং আশপাশের কমান্ডিং অবস্থানগুলোতে ঢোকার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। খবর রয়টার্স।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ সিরিয়া ও দামেস্কের অস্ত্রের ডিপোগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যাতে বিরোধীরা সেগুলো দখল করতে না পারে।

১৯৭৪ সালে সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে দেশটির নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার কারণে তা ‘ভেঙে পড়েছে’ বলে জাানান নেতানিয়াহু।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সীমান্তে কোনও বৈরী শক্তিকে অবস্থান নিতে দেব না।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার বাফার জোনের ভেতরে অবস্থিত কুনেইত্রা প্রদেশে সিরীয় সেনারা তাদের অবস্থান ত্যাগ করেছে।

রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বাফার জোনের ভেতরে থাকা পাঁচটি সিরীয় গ্রামের বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের বাড়িতে থাকতে বলেছে।

গোলান মালভূমি দামেস্ক থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বলে জানিয়েছে বিবিসি।

১৯৭১ সাল থেকে বাশার আল–আসাদ এবং তার বাবা দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। রোববার ভোরে ইসলামপন্থি বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল–শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন গোষ্ঠী দামেস্কে ঢুকে পড়ে।

এরপর তারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে ‘সিরিয়া এখন মুক্ত’ বলে ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গোলান মালভূমির বাফার জোন দখলের পদক্ষেপ নিল ইসরায়েল।

১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি দখল ও সংযুক্ত করে নেয় ইসরায়েল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে সিরিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে দেখে আসছিল। পরে ১৯৭৪ সালে বাফার জোন প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইসরায়েলি অধিকৃত ও সিরিয়ার অঞ্চলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে।

এ বিষয়ে রোববার নেতানিয়াহু বলেন, কয়েক বছরের পুরনো চুক্তি আর কার্যকর নেই এবং সিরিয়ার সৈন্যরা তাদের অবস্থান ছেড়ে চলে গেছে। ফলে ইসরায়েলের এখন তা দখলে নেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

পরে ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির কৃষি এলাকাগুলো ক্লোজড মিলিটারি জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যমকে কেএএনকে বলেন, দক্ষিণ সিরিয়া ও দামেস্কের বিমানবন্দর এলাকার অস্ত্র ডিপোগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠী ও স্থানীয় বিরোধী দলগুলো দখল করতে পারে- এমন আশঙ্কায় আমরা সেগুলোতে হামলা করেছি।

‘ইসরায়েল যেকোনো সম্ভাব্য হুমকিকে ব্যর্থ করতে এবং সিরিয়ায় তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যেকোনো ধরনের ক্ষতি ঠেকাতে করতে কাজ করছে,’ বলেন তিনি।

হিজবুল্লাহ ও ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে উন্নত অস্ত্রের সম্ভাব্য সরবরাহের বিষয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ইসরায়েল প্রায়ই সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছিল।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন