Google search engine
প্রচ্ছদখেলাধুলাহার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ

হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ

তিনশ’ছোঁয়া রান করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ক্যারিবীয় শিবিরে তিন ধাক্কা দিলেও মিডলে শেই হোপ ও শেরফান রুদারফোর্ড দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১৪ বল থাকতে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় সফরকারীরা। জবাবে ১৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।

বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ইনিংসের শুরু থেকেই হাসফাস করছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। প্রথম ৬ ওভারে স্বাগতিকদের সুযোগই দেননি টাইগার দুই পেসার। একটি করে মেইডেন আদায় করে তানজিম ৬ ও তাসকিন ১৩ রান খরচ করেন।

এরপর কিংকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তানজিম। তার খাটো লেন্থের বলে পুল করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন কিং। এতে ভাঙে ২৭ রানের ওপেনিং জুটি।

পরের ওভারেই এভিন লুইসকে হারায় স্বাগতিকরা। নাহিদ রানার গতিতে পরাস্ত হন লুইস। প্যাড বল লাগলে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৩১ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন তিনি।

শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন শাই হোপ ও কার্টি। ৫০ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা। তবে ইনিংসের ২২তম ওভারে রিশাদের চতুর্থ বলে শর্ট মিড উইকেটে মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন কিসি কার্টি। ৩৭ বলে ২১ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার। ফলে তৃতীয় উইকেটে ৮২ বলে হোপ ও কার্টির ৬৭ রানের জুটি ভাঙে।

কার্টি দ্রুত ফিরলেও সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন হোপ। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানে তাকে ফিরিয়েছেন মিরাজ।

তার বিদায়ের পর রাদারফোর্ডের সঙ্গে জুটি গড়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন জাস্টিন গ্রেভস। রীতিমতো ঝড় তুলেন রাদারফোর্ড। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৮০ বলে ১১৩ রান করেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। আর ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্রেভস।

বাংলাদেশের হয়ে নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব, মেহেদি মিরাজ, রিশাদ হোসেন ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে, সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুই পেয়েছিল বাংলাদেশ। তানজিদ আর সৌম্যের ব্যাটে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছিল দল। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪ দশমিক ৫ ওভারেই ৩৪ রান তুলে ফেলেছিলেন তারা।

তবে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি সৌম্য। পঞ্চম ওভারে জোড়া চার হাঁকিয়ে আত্মবিশ্বাস কুড়ানো এই ওপেনারকে পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন ক্যারিবিয়ান পেসার জোসেফ। ফলে ১৮ বলে ৩ চারে ১৯ রান করেই সৌম্যকে থামতে হয়।

একই পথে হাঁটেন লিটনও। নিশ্চিত জীবন পাওয়া উইকেটকিপার এই ব্যাটার রোমারিও শেফার্ডের লাফিয়ে উঠা বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ৭ বলে ২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।

এরপর বিপর্যয় সামলে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি এই ওপেনার। আলজারি জোসেফের বলে শর্ট থার্ডম্যানে রোস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ বলে ৬০ রান করে থামেন তামিম। এতে মিরাজের সঙ্গে তার ৯৭ বলে ৭৯ রানের জুটিও ভাঙে।

তামিমের বিদায়ের পর দেখেশুনে খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। হাফ-সেঞ্চুরি পর্যন্ত পৌঁছাতে তিনবার জীবন পান এই অলরাউন্ডার। ৪ চার ও এক ছক্কায় ৭১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।

এরপর আফিফকে নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন মিরাজ। তবে আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন আফিফ। শেফার্ডের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সিলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ২৮ রান করা এই ব্যাটার। এরপর মিরাজও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৭৪ রানে সিলসের বলে টপ-এজ হয়ে মিড-অফে শেফার্ডকে ক্যাচ দেন এই অলরাউন্ডার।

এরপর বাংলাদেশের স্কোরশিট সচল রাখেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তরুণ জাকের আলি অনিক। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বড় পুঁজির স্বপ্ন বুনে টাইগাররা। শেষমেশ রিয়াদের ফিফটি ও জাকের ৪৮ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন