বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী মোতায়েনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারতে শান্তিরক্ষী মোতায়েন প্রয়োজন। সম্ভবত ওনার নিজের দেশের কথা বলতে গিয়ে ভুলে বাংলাদেশের কথা বলে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, ভারতে কীভাবে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হচ্ছে, সেটি সবাই দেখেছেন। সেজন্য উনি তার দেশের জন্য শান্তিরক্ষী চাইছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রূপগঞ্জে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো আঘাত আসলে দেশের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করবে। ভারতে একের পর এক দাঙ্গা হাঙ্গামা আর সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে। তাই তাদের দেশেই শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি।
তিনি বলেন, সীমান্তে এখন কোনো ধরনের উত্তেজনা নেই, তবে ভারতীয় গণমাধ্যম এখনও বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো দেশ নিয়ে এমন মিথ্যাচারের নজির নেই সারা বিশ্বে।
সাংবাদিকদের দেশের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের প্রশ্নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের পর যে পরিস্থিতি হয়েছে, সেটি থেকে উত্তরণের জন্য সময় দিতে হবে। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক উন্নতি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করার জন্য আরও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে ভলান্টিয়ার আছে ৫৫ হাজার। সেটিকে ৬২ হাজারে উন্নীত করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বন্যা-ভূমিকম্প মোকাবিলা সরকারের একা সম্ভব না। ফায়ার সার্ভিসের সেচ্ছাসেবক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি দেশ ও জাতির স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস সবসময় প্রস্তুত আছে।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিসের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন সরঞ্জাম পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামালসহ ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা।