গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের জন্য আগামী তিন শুক্রবার দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজের পর মোনাজাতের আহ্বান জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং আহত ও অসুস্থদের সুস্থতা কামনায় ১৫, ২২ ও ২৯ নভেম্বর দেশের সব মসজিদে বাদ জুমা দোয়া ও মোনাজাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৭৩৭ জন শহীদের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পেরেছে সরকার। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্যমতে, অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা ৮৭৫। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির দাবি, আন্দোলনে কমপক্ষে ১ হাজার ৫৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হতাহতদের তালিকা প্রণয়ন করতে সরকার টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে। তাদের সহায়তা করছে বৈষম্যবিরোধীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি। তারা কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি, ঠিক কবে তালিকা চূড়ান্ত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই তালিকা চূড়ান্ত করা উচিত।
সরকারি হিসাবে অভ্যুত্থানে আহতের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজারের মতো। এইচআরএসএস বলছে, এই সংখ্যা ৩০ হাজার। আর বৈষম্যবিরোধীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির দাবি, আন্দোলনে আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। সরকারি হিসাবে গুরুতর আহত প্রায় ৮০০ জন। তাদের মধ্যে চোখ হারিয়েছেন ৪০০ জন। দুটি চোখই হারিয়েছেন ৩৫ জন। আবার কারও অঙ্গহানি হয়েছে, কারও কাটা গেছে হাত অথবা পা।