ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে চায়, তাহলে ইসরায়েলজুড়ে সব স্থাপনায় হামলা চালানো হবে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আজ বুধবার (২ অক্টোবর) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আরও তীব্রতার সঙ্গে এটার (হামলা) পুনরাবৃত্তি ঘটানো হবে এবং সব স্থাপনাকে (ইসরায়েলের) লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে।’
এএফপির প্রতিবেদনের খবর, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলায় হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল সরকার।
হামলার পরপর ইরানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘ইরান আজ রাতে বড় ভুল করে ফেলেছে। এ জন্য দেশটিকে চড়া মূল্য দিতে হবে।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দেশের দৃঢ়সংকল্পের বিষয়টি ইরান বুঝতে পারছে না।’
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এমন কড়া হুঁশিয়ারির পর ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হুমকি দিলেন দেশটির চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হামলার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ইরানের নাগরিক ও স্বার্থরক্ষার থেকে এটি একটি ‘অবধারিত’ প্রতিক্রিয়া ছিল।
এদিকে, হামলা শুরুর পরপরই ইসরায়েলকে টার্গেট করে নিক্ষেপ করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার রাতে এক লাইভ প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরপরই হোয়াইট হাউস থেকে জো বাইডেনের বিবৃতি জারি করা হয়। ইসরায়েলের আশপাশের অঞ্চলগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বিগত দিনগুলোতে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
এর আগে গত ১৩ই এপ্রিল ইসরায়েলের ওপর একটি হামলা চালিয়েছিল ইরান। সে সময়ও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো গুলি করে ভূপাতিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল মার্কিন বাহিনী।