Google search engine
প্রচ্ছদখেলাধুলাশান্তর ফিফটিতে ব্যবধান কমাচ্ছে বাংলাদেশ

শান্তর ফিফটিতে ব্যবধান কমাচ্ছে বাংলাদেশ

পানি পানের বিরতির পর ক্রিজে বল গড়াল মাত্র দুটি। দিনের বাকি কমপক্ষে আরও ১০ ওভার। তখনই হঠাৎ আম্পায়াররা দিনের আলো পরীক্ষায় নেমে পড়েন, বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে রোহিত শর্মা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। বলতে থাকেন- তারা স্পিন দিয়ে চালিয়ে নিতে পারবেন। তখন পেসার মোহাম্মদ সিরাজও মজা করে স্পিন বল করার ভঙ্গি দেখান, তবে আলোকস্বল্পতায় ঠিকই ক্রিকেটারদের মাঠ ছাড়তে বলেন আম্পায়াররা।

ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেভাগেই শেষ হয়ে গেল চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। তার আগে বাংলাদেশ আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করেছে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫১ এবং সাকিব আল হাসান ৫ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের ব্যাটিংয়ে নামবেন। বাংলাদেশের জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ৩৫৭ রান।

গতকাল রাতের পর আজ (শনিবার) ভোরেও চেন্নাইয়ে বেশ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় তৃতীয় দিনের খেলা নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছিল। এরপর নির্বিষ বোলিংয়ে সমানে রান বিলিয়েছেন টাইগার বোলাররা। আগেরদিন ক্রিজে অপরাজিত দুই ব্যাটার ঋষভ পান্ত ও শুভমান গিল আজ ব্যক্তিগত অর্ধশতক পেরিয়ে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরিও। দুজনের ১৬৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভর করে ভারত তোলে ২৮৭ রান। যার সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ২২৭ রানের লিড মিলিয়ে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৫ রানের।

প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন বাংলাদেশের ‍দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। হয়তো চা বিরতির আগপর্যন্ত এমনটাই পরিকল্পনায় ছিল সফরকারীদের। ১৩ ওভারে ৫৬ রান তোলা দলটি চা বিরতির পর সেই আক্রমণাত্মক ধারা থেকে সরে আসে। আর তাতেই উইকেট হারিয়ে বসেন জাকির। দলীয় ৬২ রানের মাথায় জাসপ্রিত বুমরাহ’র লাফিয়ে ওঠা বলে গালিতে ক্যাচ দেন যশস্বী জয়সওয়ালকে। এর আগে জাকির ৪৭ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৩২ রান করেন।

টাইগারদের দলীয় পুঁজিতে আর ২৪ রান যোগ হতেই খেই হারান আরেক ওপেনার সাদমানও। রবিচন্দ্রন অশ্বিন অনেক্ষণ ধরে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। হোমটাউন চেন্নাইয়ের উইকেট থেকে যথেষ্ট বাউন্সও আদায় করে নিতে থাকেন এই ডানহাতি অভিজ্ঞ অফস্পিনার। তার বলে শর্ট মিডউইকেটে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দেন ৩৫ রান করা সাদমান। ‍উইকেট হারালেও একই গতিতে রান তোলার চেষ্টা করতে থাকেন মুমিনুল হক ও টাইগার অধিনায়ক শান্ত। তবে ১৩ রানে মুমিনুলের বিদায়ে ভাঙে দুজনের ৪০ রানের জুটি। অশ্বিনের বলে তিনি বোল্ড হয়েছেন।

এরপর অশ্বিন-জাদেজাদের চাপে রাখার মনোভাব নিয়ে সম্ভবত ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। একটি করে চার-ছক্কায় ১১ রান করার পর আবারও উইকেট থেকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে মিড–অফে দাঁড়ানো লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। সামনে ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি নেন রাহুল। যা নিয়ে শুরুতে দ্বিধা ছিল, পরে তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ১৪৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে রাখা শান্ত সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দিন শেষ করেন। যদিও আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

শান্ত ফিফটি পূর্ণ করেছেন অশ্বিনকে ৬ মেরে। যা টেস্ট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ অধিনায়কের চতুর্থ ফিফটি। এ ছাড়া সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি। টেস্ট ক্রিকেটে শান্ত’র সর্বশেষ ৫০ বা এর চেয়ে বেশি রানের ইনিংস ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ১০ ইনিংস পর এই বাঁ-হাতি ব্যাটার ফিফটির দেখা পেলেন।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। যেখানে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুইজন। অপরাজিত ১১৯ রান করেছেন গিল, আর পান্তের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এক উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন