মাথা ভর্তি কাঁচা-পাকা এলোমেলো চুল। চওড়া গোঁফ, থুতনির নীচে দাড়ি। এ কোন চঞ্চল চৌধুরী ! শনিবার সেই লুক সামনে এনে আসল ঘটনা ফাঁস করলেন নায়ক নিজেই। জানিয়েছেন, নতুন নতুন চরিত্র খুঁজে বেড়ানো তাঁর নেশা। এবার তিনি ‘মনোগ্যামী’ চরিত্রে। বাংলাদেশের প্রথম সারির ওয়েব প্ল্যাটফর্ম চরকি। সেখানেই তিনি নতুন ভূমিকায়।
চরকির জন্য ১২টা অরিজিনাল ওয়েব ছবি তৈরি হচ্ছে। নাম ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’। তার মধ্যে ‘মনোগ্যামী’ একটি। পরিচালনায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকি। ছবির পুরো নাম ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অফ মনোগ্যামী’। সেখানেই মুখ্য ভূমিকায় চঞ্চল। বিপরীতে জেফার রহমান। ভিন্নধারার গান ও ফ্যাশনে সবার নজর কাড়া জেফার ‘মনোগ্যামী’ দিয়ে প্রথমবারের মতো অভিনয়ে আসছেন।
গত মাসের মাঝামাঝি অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। সঙ্গী বাংলাদেশের এক ঝাঁক তারকা অভিনেতা। প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানে তাঁর লুক দেখে ধন্দে ছিলেন অনেকেই।
চঞ্চলের কথায়, ‘প্রায় ২০ বছর কাজের সম্পর্ক ফারুকির সঙ্গে। আমার ‘বড় ভাই’ আমাকে দিয়ে মধ্য বয়সী একটি চরিত্রে অভিনয় করাচ্ছেন। এবারের ছবির গল্পটাই একদম আলাদা। ছবিতে কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে, যা দর্শককে ভাবাবে। আমার চরিত্রের লুকও তাই একদম আলাদা।’ জোরকদমে শুটিং চলছে। নতুন কাজের খবর দেওয়ার পাশাপাশি অভিনেতা অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেছেন, সম্মানিত ওয়েব দর্শকবৃন্দ ভাল কিছু আশা করতে পারেন আবার।
সিরিজ সম্পর্কে কী বলছেন পরিচালক? তাঁর কথায়, ‘আমার প্রিয় কাজ, মানুষের মন জানা। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সব অনুভূতি আমাকে নাড়া দেয়। ‘মনোগ্যামী’তে অনেক দিন পর নারী-পুরুষ সম্পর্কের কিছু দিক দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘ব্যাচেলর’ ছবিতে অবিবাহিতদের জীবনের কিছু দিক প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এবার বিবাহিতদের জীবন তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন।