Google search engine
প্রচ্ছদরাজনীতিরাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান

রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নোয়াখালীর আদালতে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

বুধবার (২১ আগস্ট) নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নোমান মহি উদ্দিন খালাসের এ রায় দেন।

আদালতের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানের নামে পাঠানো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত পাঠাতে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম কোনো মামলায় তারেক রহমান খালাস পেলেন, যিনি ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দেওয়া একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক।

নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগ জমা দেয়ার পর বিচারক সে সময় অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চরজব্বর থানাকে নির্দেশ দেন।

এর আগে গত রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বাদী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন সূবর্ণচরের বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই চেয়ারম্যানের বহিষ্কারসহ তাকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সূবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে চরজব্বর থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) দেবব্রত চক্রবর্তী। তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ।

২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার পরের বছর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন