বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে বর্বরতার ঘৃণ্য নজির স্থাপন করেছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। তার নির্দেশে দলদাস পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর পাক হানাদার বাহিনীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পুলিশের গুলিতে এক হাজারের মতো ছাত্রজনতার নির্মম মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণঅভুত্থান সফল হয়েছে এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসলে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সকল গুম খুনের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হবে এবং দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহতদেরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদেরকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি টাঙ্গাইলের গোড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মো. হিমেলের সঙ্গে কথা বলেন ও চিকিৎসার যাবতীয় খোঁজখবর নেন। গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গোড়াই হাইওয়ে থানা থেকে পুলিশের ছোড়া গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তার দুটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ভেবেছিল ছাত্রসমাজকে নির্যাতন-নিপীড়ন করে দমিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি যে ছাত্রসমাজ শেখ হাসিনাকে দেশের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেজন্যই ছাত্রসমাজ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করেছে। আগামীতে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না। শেখ হাসিনাকে বিদায় করার জন্য তিনি ছাত্রজনতাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।