হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ সুখর হত্যাকাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য।
শীর্ষ কমান্ডার হত্যার জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। এদিকে হানিয়াকে হত্যার জেরে ইসরায়েলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি ইতিমধ্যে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার নির্দেশও দিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
সংবাদমধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ইরান ও তাদের মিত্রবাহিনীর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ অবস্থায় রয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী সবদিক থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
সতর্কাবস্থার ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে ইসরায়েল উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। আমাদের ওপর যেকোনো দিক দিয়ে যেকোনো আগ্রাসনের উচ্চ মূল্য নেয়া হবে।
এদিকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলছে, বাইডেন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘ইরানের কাছ থেকে আসা সব ধরনের হুমকি’ থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দেবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘অঙ্গীকার’ থেকে বিচ্যুত হবে না।
ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে প্রয়োজনে ইসরায়েলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলাপ করেছেন দুই নেতা।
বুধবার ( ৩১ জুলাই) ভোরে তেহরানের একটি ভবনে গুপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এ সময় তার এক দেহরক্ষীও নিহত হন।