তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ফিলিস্তিনিদের রক্ষা এবং গাজা যুদ্ধের অবসানে ইসরায়েলে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। রোববার (২৮ জুলাই) রাইজে একটি দলীয় বৈঠকে এই হুমকি দেন তিনি। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।
এরদোয়ান বলেন, তুরস্ককে অবশ্যই খুব কঠোর হতে হবে যাতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে এসব কার্যক্রম করতে না পারে। আমরা যেভাবে নাগর্নো-কারাবাখে প্রবেশ করেছি, যেভাবে আমরা লিবিয়ায় প্রবেশ করেছি, তাদের সঙ্গেও আমরা ঠিক এমনটাই করতে পারি। এমন কিছু নেই যা আমরা করতে পারি না। আমাদের কেবল কঠোর হতে হবে।
এদিকে এরদোয়ানের হুমকির জবাবে তাকে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের মুখে তার পতন হয়েছিল। পরে তাকে বন্দি করে একটি ইরাকি আদালতে বিচার শেষে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
সাদ্দামের পরিণতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে এক এক্সবার্তায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাদ্দাম হোসেনের পথে যাচ্ছেন এরদোয়ান। তিনি ইসরায়েলে হামলার হুমকি দিয়েছেন। তার মনে রাখা উচিত সেখানে কী ঘটেছিল এবং কীভাবে এটি শেষ হয়েছিল।
২০২০ সালে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় আজারবাইজান। ৪৪ দিন ধরে চলে দুই দেশের এই সংঘাত। এই সংঘাতে আজারবাইজানকে সামরিক সহায়তা দেয় এরদোয়ানের দেশ তুরস্ক। তবে সেখানে সরাসারি সামকির হস্তক্ষেপ করেনি দেশটি। এর বদলে আজারবাইজানকে সিরিয়ার ভাড়াটে সেনা এবং ড্রোন সরবরাহের মতো সামরিক সহায়তা দেয়া হয়।
এ ছাড়া একই বছর গৃহযুদ্ধে জর্জরিত লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের সমর্থনে সেনা পাঠায় তুরস্ক। এক বছরের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছিলেন এরদোয়ান।