বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের চসিকের সুনাম রয়েছে। আপনাদের আন্তরিকতার কারণে এ সুনাম অর্জিত হয়েছে। আমরা চাই এবারও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করে সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর বিকেল ৫টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এতে পর্যাপ্ত জনবল, ওয়াকিটকি, গাড়ি, পে-লোডার, কনটেইনার মুভার ও টমটম ভ্যানসহ প্রয়োজন সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী সিটি করপোরেশন লাইব্রেরি ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা জহুর।
তিনি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডকে ৭টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। জোন প্রধানরা কোন মহল্লায় কতো পশু জবাই হচ্ছে তার সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সে অনুপাতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে জবাইকৃত পশুর ময়লা-আবর্জনা খড়সহ সংগ্রহ করে রক্ত ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেবে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে। এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের তদারকি করতে হবে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন চসিক দামপাড়া অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। নগরের কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে জনসাধারণ কন্ট্রোল রুমে জানালে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, তৌহিদুল ইসলাম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. সরফুল ইসলাম (মাহি)।