সদ্য সমাপ্ত মে মাস জুড়েই ভয়ংকর তাপপ্রবাহে পুড়ছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। মাসের শেষ দিন শুক্রবারও (৩১ মে) সেখানে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ছয় ডিগ্রি বেশি।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আরও জানিয়েছে, দিল্লিতে গত মে মাসে মাত্র দু’দিন বৃষ্টি হয়েছে, যা বিগত এক দশক বা ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে শনিবারের জন্য দিল্লিতে ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি করেছে আইএমডি। এদিন শহরটিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বজ্রঝড় এবং ধুলিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমডি জানিয়েছে, শনিবার ভারতীয় রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের চারটি রং নির্দেশিত সতর্কতা রয়েছে- সবুজ (কোনো পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই), হলুদ (দেখুন এবং আপডেট থাকুন), কমলা (প্রস্তুত থাকুন) এবং লাল (ব্যবস্থা নেন)।
শুক্রবারের তাপমাত্রা চলতি গ্রীষ্মে এখন পর্যন্ত দিল্লির প্রাথমিক আবহাওয়া স্টেশন, সাফদারজং অবজারভেটরির সাহায্যে রেকর্ড করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
শহরটি গত মাসে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়েছে। আইএমডির তথ্যমতে, গত বুধবার সেখানে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৭৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওইদিন দিল্লির মুঙ্গেশপুর এলাকায় ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে নিজেদের এই রিডিং নিয়ে সন্দিহান খোঁদ আবহাওয়া দপ্তরই। আইএমডি এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্ভাব্য ত্রুটির সন্ধানে তারা ওই এলাকার আবহাওয়া স্টেশনের সেন্সর ও ডেটা পরীক্ষা করছে। তবে মুঙ্গেশপুরে সেন্সর পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো রিপোর্ট জারি করেনি ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ।
চলতি গ্রীষ্মের নজিরবিহীন গরমের কারণে ভারতীয় রাজধানীতে পানির সংকটও দেখা দিয়েছে। গত ১০ বছরের মধ্যে মে মাসে সবচেয়ে কম বৃষ্টির দিন দেখা গেছে এই বছরেই। এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে বৃষ্টি হওয়া দিন ছিল ১১টি, ২০২২ সালে সাতটি, ২০২১ সালে ১২টি এবং ২০২০ সালে সাতটি। কিন্তু এ বছরের মে মাসে দিল্লিতে মাত্র দুইতিন বৃষ্টির দেখা মিলেছে।