চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। শুক্রবার (১০ মে) থেকে এই অঞ্চলে তার ছয় দিনের সফর শুরু হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লুর সফরে সেটাই গুরুত্ব পাবে।
ডোনাল্ড লু আগামী ১৪ মে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। সফরকালে তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে বৈঠক করবেন।
ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, নির্বাচন-পূর্ববর্তী অস্বস্তিকে পেছনে ফেলে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আলোচনা করতেই লুর আসন্ন ঢাকা সফর। নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর উনার (ডোনাল্ড লু) প্রথম সফর হবে এটা। নির্বাচনের আগে যে চিত্র ছিল, এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্থিতিশীল একটি সরকার। সরকার নিয়মিত কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সব দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চায়।
ডোনাল্ড লুর সফরে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা ও সংলাপের অনেক কাঠামো আছে। সেগুলো কীভাবে আরও সক্রিয় করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রেও নির্বাচন সামনে। অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনায় থাকবে।