সমস্যা মোকাবিলার জন্য আলোচনার ধারাবাহিকতার পাশাপাশি ইরানের প্রতিরক্ষার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র থাকা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রাইসি বলেন, সম্প্রতি ইসরাইলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে ইরান যে অপারেশন ট্রু প্রমিজ শুরু করেছে, তাতে এটাই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ইরান যেকোনো শত্রুতামূলক পদক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করবে।
তবে ইরান কখনোই আলোচনার টেবিল থেকে সরে যায়নি এবং আলোচনায় সবসময়ই তার যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য অবস্থান প্রকাশ করেছে, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়রা বারবার তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে।
দেশের সমস্যার সমাধান ক্ষেপণাস্ত্র, নাকি সমঝোতা, নাকি দুটোই এমন প্রশ্নের জবাবে রাইসি বলেন, আমরা বহুবার জোর দিয়ে বলেছি যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় এমন সব দেশের সঙ্গে উষ্ণভাবে হাত মিলিয়েছে, কিন্তু গত ৪৫ বছরে কিছু দেশ বরাবরই ইরানভীতিকে উৎসাহিত করেছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির শান্তিপূর্ণতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সির ১৫টি প্রতিবেদনের প্রতি ইঙ্গিত করে রাইসি বলেন, তা সত্ত্বেও এসব প্রতিবেদনের প্রতি সহানুভূতিশীল কান নেই। শুধু আলোচনাই সমস্যার সমাধান করতে পারবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর ‘না’। আলোচনা এবং ক্ষেপণাস্ত্র, উভয়ই, যখন প্রয়োজন হয়, এটি করতে পারে। বস্তুত, এটা বলা যেতে পারে যে ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দেয়ার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন।
গাজায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে রাইসি বলেন, সব বিশেষজ্ঞই বিশ্বাস করেন যে এই ক্ষেত্রের বিজয়ীরা হলেন গাজার প্রতিরোধী ফিলিস্তিনিরা এবং ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন ইহুদিবাদী সরকার এবং এর সমর্থকরা।
তিনি হামাস কর্তৃক যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার পরও ইহুদিবাদী সরকার কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ অব্যাহত রাখাকে বিশ্বের জনগণের চোখের সামনে এই সরকারের সমর্থকদের লজ্জা ও অপমান হিসেবে বর্ণনা করেন।