উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ফুলে উঠেছে তিস্তা। এতে প্লাবিত হয়েছে নীলফামারীর ১৫টি গ্রাম। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বানের পানি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে গর্জে উঠে তিস্তা। আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টায় পানি কিছুটা কমে ৩২ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরের মানুষজনের বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতীফ খান জানান, তার ইউনিয়নের দু’টি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। গ্রামগুলোর বাসিন্দারা রাত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আসফাউদ দৌলা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তার পানি গত দু’দিন ধরে হু হু করে বাড়ছে। আজ শুক্রবার সকালে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বিপদসীমা ৪০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে তিস্তার পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্তক রয়েছে বলে তিনি জানান।