গত ১৪ বছরে নতুন বাজারে দশ গুণ রপ্তানি বেড়েছে। ২০২১ সাল থেকে চলতি মাসের এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএ’র সদস্যপদ গ্রহণ করেছে- এমন তথ্য জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে ‘রোডম্যাপ টু রিকভারি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমে আসায় এবং পোশাকের খুচরা বিক্রিতে কিছুটা গতি সঞ্চার হওয়ায় চলতি জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আমাদের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, নানান সংকটে বেশকিছু কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও একই সময় অনেক নতুন কারখানা ও নতুন বিনিয়োগ এসেছে। আমরা বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেয়ার পর দিন থেকে ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএ’র সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অনুপ্রেরণা।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাজারগুলোতে আমাদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা বিগত ১৪ বছরে ১০ গুণ, অর্থাৎ ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৮.৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে নতুন বাজারগুলোতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১০.৮৩ শতাংশ বেড়েছে, বিশেষ করে তুরষ্কে ৬৩.৩৫ শতাংশ, সৌদি আরবে ৪৭.১৯ শতাংশ, চীনে ৪৪.৭৬ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৬.৫৪ শতাংশ, রাশিয়ায় ২৫.৬৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২১.২৯ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৭.১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে।
পোশাক খাতে ভার্চুয়াল মার্কেটের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ফারুক হাসান বলেন, কৌশলগত কারণে ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। এই উপলব্ধি থেকে আমরা একটি গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছি, যার প্রতিবেদনটিও আমরা এরইমধ্যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিটুবি ও বিটুসি উভয় ক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে, যার মধ্যে কিছু নীতি সহায়তা ও নীতি সংস্কারের বিষয়ও রয়েছে।