ইসলাম অবমাননা ও ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানোর কারণে সুইডেনকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট-ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
ন্যাটের নিয়ম অনুযায়ী সদস্যভুক্ত একটি দেশও আপত্তি জানালে এই জোটভুক্ত হতে পারে না নতুন কোনো দেশ। ফলে এরদোয়ানের এই ঘোষণায় সুইডেনের ন্যাটে সদস্যভুক্তি অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) আঙ্কারায় এক বক্তব্যে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে পবিত্র কুরআন অবমাননাকে ইসলামের বিরুদ্ধে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেছেন, এই ঘটনায় বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এরদোয়ান মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর আরও বলেন, একটি জনগোষ্ঠীর পবিত্র বিষয়গুলোকে আক্রমণ করাকে কখনোই চিন্তার স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দেয়া যাবে না। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গীর্জা, সিনাগগ কিংবা মন্দিরে হামলা চালানোকে যেমন স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দেয়া যায় না তেমনি পবিত্র কুরআনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার স্বাধীনতাও কারো থাকা উচিত নয়।
ইউরোপীয় দেশগুলোতে ইসলাম-আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র সমালোচনাও করেন এরদোয়ান।
চলতি মাসে লিথুয়ানিয়ায় অনুষ্ঠেয় ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে জোটের নেতারা আশা প্রকাশ করলেও তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এখন পর্যন্ত সুইডেনের পক্ষে ভোট দেবে বলে নিশ্চিত করেনি।
উল্লেখ্য, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট-ন্যাটোতে যোগ দিতে হলে যেকোনো দেশকে এই জোটের সব সদস্যদেশের সমর্থন পেতে হয়। তুরস্ক বিগত ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে ন্যাটোর সদস্য এবং এই জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনীর অধিকারী।