হতাশার টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে চট্টগ্রামে গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ‘টাইমড আউট সেলিব্রেশন’ ইস্যু সঙ্গী করে বন্দর নগরীতে পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা দলও। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী বুধবার (১৩ মার্চ)।
এক ম্যাচের জয়ে আকাশে ওড়া দলটার অতি আত্মবিশ্বাসে ভাঙন ধরেছে, সেটা কেউ স্বীকার না করলেও বুঝতে কষ্ট হয়নি। সিলেট থেকে চট্টগ্রাম- বিমানে অল্প সময়ের ব্যাপার, ভ্রমণক্লান্তি থাকার কথা নয়। প্রিয় ফরম্যাটে নামার আগে মিশ্র এক অনুভূতি ক্রিকেটারদের। হয়তো হাসিমুখে পরাজয়কে বরণ করে নেয়ারই চেষ্টা করলেন ক্রিকেটাররা। চট্টলায় ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে যে টি-টোয়েন্টি হারের হতাশা ঘোচানোর লক্ষ্য হাথুরু বাহিনীর।
লাক্কাতুরায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর টাইমড আউট সেলিব্রেশনে নতুন করে দ্বন্দ্ব উস্কে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সমর্থকরা ভালোভাবে না নিলেও, নিজেদের উদযাপন নিয়ে বেশ মজা পাচ্ছে সফররতরা। চট্টগ্রামে ফিফটি ওভার সিরিজ জুড়েও মাঠ ও মাঠের বাইরে নিশ্চয়ই থাকবে আলোচিত এই টাইমড আউট ইস্যু।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের তিন ক্রিকেটার- জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী ও নাঈম শেখ নেই ওয়ানডেতে। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে তাদের জায়গায় মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজীদ তামিম। টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালীন সিলেটেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারা। সেরেছেন অনুশীলন।
টাইগারদের বর্তমান স্কোয়াড কেবল প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য। শেষ ম্যাচে দু’একটি পরিবর্তন আসলেও, অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন সিলেটে একাদশে জায়গা না পাওয়া ক্রিকেটাররাও।
এদিকে, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মূল লড়াইয়ে নামার আগে দুই দিন প্রস্তুতির সুযোগ পাবে দু’দল। সাজিয়ে নিতে পারবে গেম প্ল্যান। সাগরিকায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১৩ মার্চ। বাকি ২ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ ও ১৮ মার্চ। এরপর ২২ মার্চ থেকে সিলেটে শুরু টেস্ট সিরিজ। আর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়াবে ৩০ মার্চ।