এক বছর পূর্ণ হয়েছে পদ্মা সেতুর। নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলে। দ্বিগুণ হয়েছে পর্যটন ব্যবসা। কয়েকগুণ বেড়েছে পর্যটক। সেই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ায় তৈরি হচ্ছে রিসোর্ট, হোটেলসহ নানা বিনোদন কেন্দ্র। তবে পদ্মা নদী ও সেতু ঘিরে বিনোদন অবকাঠামো তৈরি না হওয়ায় সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলে দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশের সাগর কন্যা খ্যাত কুয়াকাটা থেকে সূর্য উদয় ও অস্ত দুটোই অবলোকন করতে পারেন পর্যটকরা। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতে ঢাকা থেকে যেতে এক বছর আগেও সময় লাগতো ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। সড়কপথে পাড়ি দিতে হতো ফেরি। পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ায় সহজ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের কুয়াকাটা, সুন্দরবনসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের যোগাযোগ।
টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ১ বছরেই দক্ষিণ অঞ্চলে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। পর্যটনে বেড়েছে বিনিয়োগ। গড়ে উঠছে নানা অবকাঠামো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার দেব বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে যে পর্যটনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগাতে এ খাতের মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাহাত আনোয়ার বলেন, পদ্মা নদী ও সেতুর আশপাশে বিনোদন কেন্দ্র, হোটেল, মোটেল তৈরি করা হলে সেতু দেখতেই অনেক পর্যটকের ভিড় বাড়বে।