টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়েছে পর্যটকবাহী সাবমেরিন ‘টাইটান’। ঐ সাবমেরিনে পাইলট ছাড়াও চার জন পর্যটক ছিল বলে জানা গেছে। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও সাবমেরিনটির খোঁজ না পাওয়ায় আটলান্টিকে চলছে জোর তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন’স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘টাইটান’। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ওই সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত ছিল। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়ে গেছে।
সাবমেরিনটিতে আছেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং। সাবমেরিনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে পর্যটন সংস্থা ‘ওয়ানগেট’–এর তরফে। তারাই সাবমেরিনে টাইটানিক দর্শনের আয়োজন করেছিলেন। সংস্থাটির পাশাপাশি তল্লাশিতে হাত লাগিয়েছে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং কানাডার সেনা। সেই সঙ্গে বিমান বাহিনীও আকাশপথ থেকে তল্লাশির কাজে সাহায্য করছে।
যেখানে সাবমেরিনটির খোঁজ করা হচ্ছে, সেখানে সমুদ্রে তিন থেকে ছয় ফুট উঁচু ঢেউ রয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকারীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, পর্যটক প্রতি টিকিটের দাম ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় আড়াই কোটি টাকারও বেশি! পর্যটন সংস্থাটির ওয়েবসাইট বলছে, ২০২৪ সালে আরও দু’বার টাইটানিক দর্শনে নিয়ে যাবে তারা। কিন্তু টাইটানিক দর্শনে গিয়ে ‘টাইটান’–ই নিখোঁজ হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালে ১৫ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম যাত্রাতেই বরফ খণ্ডের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় টাইটানিক। জাহাজে থাকা প্রায় ২,২০০ জন যাত্রী–কর্মীদের মধ্যে ১,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষটি দু’টি ভাগে আটনান্টিকের প্রায় চার হাজার মিটার নীচে রয়েছে। ১৯৮৫ সালে ওই ধ্বংসাবশেষ প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়।