দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
এরমধ্যে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদে প্রবেশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন এ কূটনীতিকের কর্মকাণ্ড দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে বিতর্কের জন্ম দেয়। নির্বাচনের পরে অবশ্য তিনি বিভিন্নভাবে সহযোগিতার বার্তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
এদিকে প্রথম অধিবেশনে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার এবং শামসুল হক টুকুকে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হয়।
দ্বাদশ সংসদে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। নতুন নজির বা প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক মোট ৬২ জন স্বতন্ত্র এমপি সংসদে অবস্থান করবেন। দেশের সংসদীয় ইতিহাসে এবারই এমন অবস্থা দেখা যাবে।
নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাতীয় পার্টির তুলনায় স্বতন্ত্রদের সংখ্যা প্রায় ৬গুণ বেশি, এমন রেকর্ডও এবারই প্রথম।
এদিকে স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে বৈঠকে রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে প্রাণবন্ত সংসদ উপহার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নতুন সংসদ সদস্যদের সংবিধান এবং কার্যপ্রণালীবিধিসহ অন্যান্য বিষয়ে ভালোমতো পড়াশোনারও আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি দলের চেয়ে স্বতন্ত্র এমপিরা বেশি সক্রিয় থাকলে সংসদের ভালো হবে। কারণ অনেক সময় বাধ্যবাধকতার কারণে দলীয় এমপিরা অনেক কাজ করতে পারেন না। সেখানে স্বতন্ত্র এমপিদের ভালো করার সুযোগ রয়েছে।
আর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সংখ্যক মাত্র ১১ এমপি নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা রাখবে জাতীয় পার্টি। আসন বণ্টনের হিসেবে তারা আরও দুটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে।
বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১ম ও ৬ষ্ঠ সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না।
আর এতদিন বিরোধী দলের সবচেয়ে কম সদস্য থাকার নজির ছিল চতুর্থ সংসদে। সেবার আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দলের আসন ছিল ১৯টি।