মাছে-ভাতে বাঙালি বলে একটা কথা রয়েছে। তাই দুপুরের খাবারে একটু মাছের ঝোল-ভাত না হলে হয়? কিন্তু পেটের মেদ তো বেড়েই চলেছে। সেক্ষেত্রে ওজন কমানোটাও জরুরি হয়ে পড়ছে।
ওজন কমানোর চেষ্টা সবাই করেন। তবে ওজন কমানো খুব একটা সহজও নয়। শরীর চর্চার পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হয়। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে, ওজন কমাতে গেলে মাটনের মতো ফ্যাট জাতীয় খাবার একদম চলে না।
আপনি চিকেন, মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন। মাছ ও ভাতে বাঙালি যদি মাছ খেয়ে ওজন কমাতে পারে, তাহলে আর অন্য কোনো খাবারের ওপর কেন নির্ভর করে থাকবেন। কিন্তু সমস্যা হল, ওজন কমানোর জন্য ঠিক কোন মাছটা বেশি করে খাবেন?
মৌরলা, শিং, মাগুর থেকে শুরু করে রুই, কাতলা, ইলিশসহ সব ধরনের মাছ পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য আদৌ কোনটি কিনবেন? বেশ কিছু গবেষণার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, মাছ খেলে ওজন কমে এবং বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে ২-৪ চারদিন মাছ খেলে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।
মাছ হলো এমন একটি খাবার যা প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। তাই মাছ খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকে, এতে উল্লেখযোগ্যভাবে ওজন কমে। চিকেন কিংবা মাটনের মতো খাবারের তুলনায় অনেক কম ক্যালরি রয়েছে মাছে। ফ্যাটের পরিমাণও সীমিত। সুতরাং, মাছ খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং মাছ খেলে আপনার শরীর থাকবে সতেজ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই পুষ্টি শরীরে প্রদাহ কমায়, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, উজ্জ্বল ত্বক প্রদান করে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। টুনা, রাভা, সার্ডিন, ম্যাকরেল, বাঙদার মতো মাছগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শামুক, ঝিনুক, চিংড়ি, ক্যাটফিশের মতো সামুদ্রিক খাবারও খেতে পারেন। তবে এগুলো সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ এতে বেশ উচ্চ পরিমাণে মারকিউরি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। এছাড়া, ওজন কমাতে সাহায্য করে ইলিশ, পমফ্রেটের মতো মাছ।