১৪ জুন, বুধবার সকাল থেকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার দুই ধাপে বিক্রি হচ্ছে ট্রেনের টিকিট। সমগ্র ট্রেন রুটকে দুই ভাগে ভাগ করে টিকিট বিক্রির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে কিছু নির্দিষ্ট ট্রেনের এবং বেলা ১২টা থেকে আরো কিছু ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ৩০ মে দুপুরে রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনও এ তথ্য জানান।
গত ঈদের মতো এবারো সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ঈদযাত্রার বিক্রিত টিকিট এবার ফেরত দেওয়া হবে না। এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হবে ২৯ হাজার।
ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ জুন থেকে। ওইদিন পাওয়া যাবে ২ জুলাইয়ের টিকিট। পর্যায়ক্রমে ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ জুন পাওয়া যাবে ৩, ৪, ৫, ৬ জুলাইয়ের টিকিট।
এদিকে ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিদেশি কোনো নাগরিক ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে দেখাতে হবে পাসপোর্ট। গত ১ মার্চ থেকে এ নিয়ম চালু হয়েছে।
ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হলে এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। পরে সেটি নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেজ থেকে যাচাই করা হবে। যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
একজন ব্যক্তি একবারে চারটি সিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সহযাত্রীদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করতে হবে। তবে একজনের এনআইডি দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে অন্যজন ভ্রমণ করতে পারবেন না।