গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এবার এই পদ্ধতিতে নতুন করে আরও তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হচ্ছে। ফলে এ বছর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে একত্রে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা নেবে দেশের ৩৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আগে থেকে কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আসছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান অংশগ্রহণ করেন। প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের এ সভায় ডাকা হয়নি।
সভায় অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘ইউজিসি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ন হবে না।’
তিনি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সময় নির্ধারণ, আর্থিক স্বচ্ছতা নিরূপণে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন।
এছাড়া, ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির (এনটিএ) অধীনে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরিতে শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।
সভায় উপাচার্যরা বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কোনও বাধা নেই। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর অভিপ্রায় রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি প্রমাণিত সফল পদ্ধতি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এছাড়া, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কোনও সংকট দেখা দিলে সবাই মিলে সমাধান করতে হবে বলে তারা জানান। সভায় গুচ্ছের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছভুক্ত করার জন্য ইউজিসিকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।