গাজা যুদ্ধের ১০০ দিন পূর্ণ হলো। কিন্তু এই ভয়াবহ যুদ্ধ কবে শেষ হবে তার কোনো ইঙ্গিত নেই। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকেই অবরুদ্ধ উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। এমন পরিস্থিতে দেশে দেশে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে।
যুদ্ধের শততম দিনে রাফায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শিশুসহ অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
তাছাড়া গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজার ৮৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি।
গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান না হলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির পলিটব্যুরো সদস্য ওসামা হামদান লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
তিনি উপনিবেশবাদী মানসিকতা পরিহার করে অন্য দেশের সার্বেভৌমত্ব ও মুসলিম স্বার্থের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ও লন্ডনের আগ্রাসী নীতির কারণে বিশ্বের সব দেশ ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
হামাসের এই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, বাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। গাজা থেকে ইসরাইলি বন্দিদের উদ্ধার করতে হলে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে বলেও তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন।