সারাদেশে কমেছে তাপমাত্রা। বইছে শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল হাওয়ায় জুবুথুবু জনজীবন। বেলা গড়ালেও শরীর থেকে গরম কাপড় যেন ছাড়ানো যাচ্ছে না। অপরদিকে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত বালাই। বিশেষ করে শিশুরা এত বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবস্থান করছে। এসব এলাকায় ভোরে কুয়াশা ও রাতে তীব্র শীত পড়ছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। সাথে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
১৩ জানুয়ারি শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, আজ বদলগাছীতে ৮.৯, সৈয়দপুরে ৯.০, তেঁতুলিয়ায় ৯.৩, চুয়াডাঙ্গায় ৯.৫, রাজশাহীতে ৯.৬, ঈশ্বরদীতে ৯.৭, কুমারখালীতে ১০.০, ডিমলায় ১০.১, রংপুরে ১০.৩, বরিশালে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত আজ সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর ঘনকুয়াশার কারণে পাঁচ দিন ধরে সূর্যের উত্তাপ নেই।