রোজার আগে এবারও ৯০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধের চুক্তিতে বাকিতে আট নিত্যপণ্য আমদানির সুযোগ রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগামী মার্চ পর্যন্ত সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর আমদানি করা যাবে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ক সার্কুলারে এসব পণ্য আমদানিতে ঋণপত্রের অন্যান্য শর্ত বহাল রেখেছে।
এখন রোজার আগে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখতে বাকিতে পণ্য আনার সুযোগ দেওয়া হল।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে ভোগ্যপণ্যসহ আবশ্যকীয় পণ্য বাদে অন্যান্য পণ্য আমদানির বিপরীতে এলসি বা ঋণপত্রে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ মার্জিন আরোপের সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে তা কার্যকর করা হয়।
পরে ২০২৩ সালের জুন থেকে শিশুখাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, উৎপাদনমুখী স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সরাসরি আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল, আইসিটি, কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সরকারি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিতে এলসি খুলতে নগদ মার্জিনের হার আগের মতো ব্যাংক ও গ্রাহক সম্পর্কের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে এসব পণ্যে উপর মার্জিন সীমা তুলে নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।