সাতবার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতা মেসি যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেছেন “টাকার ব্যাপার থাকলে আমি সৌদি আরব বা অন্য কোথাও চলে যেতাম”।
তিনি যোগ করেছেন: “এটা সত্য যে আমার কাছে অন্য ইউরোপীয় দল থেকেও অফার ছিল। কিন্তু আমি ইউরোপে বার্সেলোনা ছাড়া অন্য কোন কিছু চিন্তাও করিনি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইউরোপ ছেড়ে যাবো”।
“এখন সময় এসেছে এমএলএসে যাওয়ার জন্য। অন্যভাবে বাঁচার এবং আমার প্রতিদিনের জীবনকে, ফুটবলকে আরও উপভোগ করার জন্য”।
প্রাক্তন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড এই গ্রীষ্মে কাতালান ক্লাবে ফিরে যেতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু লা লিগায় পরবর্তী মৌসুমের জন্য এফএফপির সীমাবদ্ধতা তাকে ফিরিয়ে আনার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
মেসি আরো বলেন “আমি সত্যিই চেয়েছিলাম বার্সেলোনায় ফিরতে। এ ব্যাপারে আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং যেভাবে আমাকে প্রস্থান করতে হয়েছে, আমি আবার একই পরিস্থিতিতে পড়তে চাইনি। আমি ভয় পেয়েছিলাম যে এটি আবার ঘটতে পারে”।
“আমি শুনেছি যে তাদের খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে বা খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হবে এবং সত্য হল যে আমি এসবের মুখোমুখি হতে চাইনি”।
বার্সেলোনা ফিরতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিল ইন্টার মিয়ামি বা আল-হিলালের নাম।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং করিম বেনজেমার মতো তাকেও সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বেশ বড়সড় আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু মেসি শেষ পর্যন্ত মেজর লিগ সকার (এমএলএস) দল ইন্টার মিয়ামিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে তিনি লাইফস্টাইল সহ ফুটবলের বাইরেও বিভিন্ন বড় ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তি করতে পারেন বলে জানা গেছে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, এক মৌসুম ইন্টার মিয়ামিতে খেলার পর বার্সেলোনা মেসিকে ধারে কাতালান ক্লাবে নিয়ে আসবে। তখন ক্লাবটিকে মেসির বেতন নিয়ে আর জটিলতায় পড়তে হবে না । যদিও নিরপেক্ষ কোন সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি ।
উল্লেখ্য, প্যারিস সেন্ট-জার্মেই ক্লাবে গেল দুই মওসুম কাটানোর পর দলের সাথে আর নতুন করে চুক্তিতে বাড়াননি ফুটবল যাদুকর মেসি।