Google search engine
প্রচ্ছদরাজনীতি‘নির্বাচন বানচাল করতে আন্দোলনের নামে সংঘাতে নেমেছে বিএনপি’

‘নির্বাচন বানচাল করতে আন্দোলনের নামে সংঘাতে নেমেছে বিএনপি’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলেই আন্দোলনের নামে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে।

৩০ অক্টোবর সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এলো আর এলো না তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায় তারা কখনও এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না। নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এ যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির লক্ষ্য নির্বাচনকে বানচাল করা, অংশ নেয়া নয়। নির্বাচন চাইলে তারা এমন সন্ত্রাস করত না। নৃশংসতা বিএনপির আসল রূপ। পুলিশ-সাংবাদিক কাউকেই ছাড় দেয়নি তারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সড়ক-নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু তাদের দলের মহাসচিবতো জেলে, এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবে কে?

তিনি বলেন, রাজনীতিতে এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো সংশোধন করার সময় অনেক সময় থাকে না। বিএনপি এমন কিছু দৃশ্যমান অপরাধ, আন্দোলনের নামে করেছে; যেটা আজকে গাজায় যে নৃশংসতা সাধারণ মানুষের ওপর হচ্ছে তার চেয়েও ভয়ংকর তারা। আমাদের নারী কর্মীরাও রেহাই পাইনি তাদের নির্যাতন থেকে। অনেককেই তারা তাদের পোশাক ধরে টানাটানি করেছে, আঘাত করেছে, মারধর করেছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত। টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল, এটা থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত।

সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নিয়ে তিনি বলেন, তাহলে কী সাংবাদিকরা তাদের আসল রুপ নিয়ে লেখার কারণে নির্যাতন করা হয়েছে। সাংবাদিকরা যা দেখেছে তাই তো লিখবে এবং বলবে। এটাই তাদের অপরাধ। এই জন্য বিএনপি তাদের ওপর হামলা করেছে। যাদের বিবেক আছে, বিবেকবান মানুষ সত্যের পক্ষে বলে ও সত্যের সাধনা করে। এধরনের মানুষ বিএনপির চোখে ভালো নয়। প্রত্যেকেই অপরাধী।

মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুরসহকেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহয়োগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন