এক জোড়া জলহস্তীর কথা থাকলেও রংপুর চিড়িয়াখানার একটি জলহস্তী জাতীয় চিড়িয়াখানা হয়ে এখন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। জলহস্তী শূণ্য চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এক জোড়া বাঘের বিপরীতে রংপুর চিড়িয়াখানার দুটি জলহস্তী ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে পাঠানোর কথা ছিল।
২১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে কাভার্ডভ্যানে করে জলহস্তীটি আনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম দফায় একটি আনা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৭ দিন পর আরেকটি আনা হবে। এতদিন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এই প্রাণীটি ছিল না। কুমিরের আগের জায়গায় নতুন অতিথির জন্য তৈরি খাঁচায় রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘রংপুর চিড়িয়াখানাকে এক জোড়া বাঘ দেওয়ার বিপরীতে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে দুটি জলহস্তী পাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা । প্রথম দফায় আজ সকালে বৃহস্পতিবার একটি জলহস্তী কাভার্ডভ্যানে করে আনা হয়েছে। এগুলোর ওজন বেশি হওয়ায় একসঙ্গে দুটি আনা সম্ভব হয়নি। আরেকটি ৫-৭ দিনের মধ্যে আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ১৬টি বাঘ ছিল। এরমধ্যে দুটি রংপুর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৪টি বাঘ আছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন জলহস্তীসহ বর্তমানে প্রাণীর সংখ্যা ৬২০। এই চিড়িয়াখানায় সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী আছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পরিচালিত বর্তমানে বাঘ, সিংহ ছাড়াও রয়েছে জেব্রা, ভাল্লুক, হরিণ (চিত্রা, সাম্বার, মায়া), উল্লুক, বানর, মেছো বিড়াল, চিতা বিড়াল, অজগর, বাঘডাসা, উটপাখি, ইমু পাখি, গয়াল, কুমির, ময়ূর, ঘোড়া, বক, টিয়াসহ ৬৮ প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে চিড়িয়াখানা ২০১৯ সালে দলগতভাবে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক অর্জন করে।