অপহরণের পর প্রথমে ১৫ লাখ পরে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় মুক্তিপণের দুই লাখ টাকাও। কিন্তু মুক্তিপণ দিয়েও লাশ হয়ে পরিবারের মাঝে ফিরলো রাউজান থেকে অপহৃত কলেজ শিক্ষার্থী শিবলী সাদিক হৃদয় (২০)।
অপহরণের ১৩ দিন পর আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাউজানের কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ হৃদয়ের ক্ষত-বিক্ষত ও খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
গত ২৮ আগস্ট রাতে কদলপুরের একটি মুরগি খামার থেকে অপহরণের শিকার হন শিবলী সাদিক হৃদয়।
নিহত কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয় উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়ার গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শফিক ড্রাইভারের ছেলে। সে কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ওই মুরগির খামারে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় যে মুরগির খামারে চাকরি করতেন সেখানে সবাই ছিলেন চাকমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। মুরগির খামারে চাকরি করা চাকমা যুবকদের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সেখানে দুই মাস আগে চাকরি করা চাকমা যুবকদের সঙ্গে হৃদয়ের ঝগড়া হয়। পরে মুরগির খামারের মালিকরা তাদের মিলমিশ করে দেয়। কিন্তু তার পরও গত মাসে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের দুই দিন পর তাদের বাড়িতে ফোন করা হয়। বলা হয়, ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পরে আবার দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যস্ততার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।