সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করেছেন সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে গেছেন। বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়ার পর বিমানে করে শহরটি ছেড়ে যান আসাদ। তবে তিনি কোথায় গেছেন তা জানা যায়নি।
এদিকে বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালাচ্ছেন সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ভেঙে ফেলা হয়েছে আসাদের বাবা সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদের ভাস্কর্য।
হাফিজ আল-আসাদ ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০০ সালে তার মৃত্যুর পর সিরিয়ার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তার ছেলে বাশার আল-আসাদ। টানা দুই যুগ ধরে সিরিয়া শাসন করেন তিনি।
হাফিজ আল-আসাদের আমলে ২০১১ সালে সিরিয়ায় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় কয়েক বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিদ্রোহীদের দমন করতে সক্ষম হন বাশার আল-আসাদ। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি।
কয়েক বছর পর গত ২৭ নভেম্বর আসাদ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা শুরু করেন সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এবারের আক্রমণের গতি এতটাই দ্রুত ছিল যে সরকারি বাহিনী তাদের সামনে কোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। অভিযান শুরুর মাত্র ১২ দিনের মাথায় রোববার বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করেন। এর আগে শনিবার দামেস্ক থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জেরমানা শহরতলির কেন্দ্রে থাকা হাফিজ আল-আসাদের একটি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
রোববার বিদ্রোহীরা দামেস্কে প্রবেশ করেন। পরে জনতা দামেস্কে হাফিজের আরেকটি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন।