চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে তিনটিসহ মোট চারটি মামলা দায়ের করা হলো।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের ভাই জানে আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানিয়েছেন, মামলার এজাহারে ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৩১ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
গত ২৭ নভেম্বর ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করে নগরীর কোতোয়ালি থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের একটি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন ইসকন ও চিন্ময়ের অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেন কিছু ইসকন অনুসারী। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয় কয়েকজনের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার চিত্র দেখা যায়।