বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে। তাতে সরকারের কাজে বাধা আসতে পারে। তাই বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে সুচিন্তিতভাবে সব সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ পরিস্থিতি এড়ানো যাবে। সরকার ও বিএনপির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন বলেও জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, কাজেই ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানী ইস্কাটন লেডিস ক্লাবের এক শুভেচ্ছা মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে এ শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পরাজিত শক্তি ও তার দোসররা কাজ করছে। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দোসরদের রেখে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। বিএনপি মনে করে এই সরকারকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের চরিতার্থ স্বার্থ হাসিল করতে পতিত পরাজিত শক্তি দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতো। সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের কোন একটি ঘটনার বিচার করেনি তারা। ভবিষ্যতে সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্ম নিশ্চিন্তে উদযাপন করতে পারে তেমন একটি দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু নিরাপত্তা পাওয়ায় অধিকার সবার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য অন্তবর্তীকালানীন সরকার ইতিমধ্য বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল শেষ করে চলমান সংস্কার কার্যক্রম শেষ করা বিশাল কর্মজজ্ঞ। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি এই বিশাল কর্মজজ্ঞ সম্পাদন করতে গিয়ে জনগণের প্রতিদিনের দুঃখ দুর্দশা লাগব করা না গেলে, জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকলে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফলে এই সরকারের কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডাভিত্তিক করা অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পরাজিত অপশক্তি প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা নানা কৌশলে ষড়যন্ত্র করছে৷ এবং এই কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি থাকলেও একটি বিষয় বিএনপিসহ সবাই আমরা একমত- মাফিয়া সরকারের বিনিফিয়িশারদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে অন্তবর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য পৌছানো সহজ নয়।