লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে শেখ নাইম কাসেমকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি এতদিন লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির উপ-মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের দলের নীতিমালা ও লক্ষ্যের প্রতি কাসেমের আনুগত্যের কারণে তাকে এই পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, হিজবুল্লাহর শূরা কাউন্সিল হিজবুল্লাহর মহাসচিব হিসেবে শেখ নাইম কাসেমকে নির্বাচিত করতে সম্মত হয়েছে। তিনি এই মহৎ যাত্রায় বরকতময় পতাকা বহন করবেন এবং হিজবুল্লাহ ও ইসলামিক প্রতিরোধের নেতৃত্বে আল্লাহর কাছে দিকনির্দেশনা কামনা করবেন।
শেখ নাইম কাসেমের আগে হিজবুল্লাহর ডেপুটি নেতা ছিলেন। গত মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলায় নিহত হয় হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর থেকে জল্পনা চলছিল কে হতে যাচ্ছেন হিজবুল্লাহর প্রধান।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের দক্ষিণ উপশহরে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে ইসরায়েলি হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। পরের দিন ২৮ সেপ্টেম্বর ইরানপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি ৩২ বছর হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অবশ্য নাসরুল্লাহ নিহত হলে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন নেতা হিসেবে আলোচনায় আসেন হাসেম সাফিয়েদ্দিনও। নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করতেন সাফিয়েদ্দিন। তিনি জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন, যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
হাসেম সাফিয়েদ্দিন হাসান নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই এবং তার মতোই একজন ধর্মীয় নেতা। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর হিসেবে পরিচিতমূলক কালো পাগড়ি পরেন। তবে তিন সপ্তাহ আগে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে ইসরায়েলের এক বিমান হামলায় নিহত হন তিনি। গত সপ্তাহে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ।