দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরকার ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন (এমটি) সার সংগ্রহের জন্য পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (এসিসিজিপি) অষ্টম বৈঠকে রোববার (২০ অক্টোবর) এ অনুমোদন দেয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত নথি অনুযায়ী, সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এসিসিজিপি সভায় মোট পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি পৃথক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) প্রায় ৮৭২ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীন, মরক্কো ও সৌদি আরবের তিনটি কোম্পানি থেকে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার সংগ্রহ করবে।
কোম্পানি তিনটি হলো- চীনের বনিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড, মরক্কোর ওসিপি এবং সৌদি আরবের মা’আদেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) চলতি অর্থবছর (অর্থবছর ২৪) সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ৪র্থ লটে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া সার সংগ্রহ করবে। যার ক্রয়মূল্য ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ সারের প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৫৯.৩৩ মার্কিন ডলার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রায় ৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা দিয়ে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে স্থানীয় ওপেন টেন্ডার মেথড (ওটিএম) এর আওতায় ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫৭.৯০ টাকা।