প্যারোলে সাজা ভোগের মেয়াদ দুই সপ্তাহ কমিয়ে রাজকীয় ক্ষমা পেয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এর আগের দিনেই দেশটির সর্বকনিষ্ঠ এবং দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন থাকসিনের আইনজীবী।
গত দুই দশক ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতির প্রধান ইস্যু ছিলেন শতকোটিপতি এই থাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দেশের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে একদিকে ছিল সিনাওয়াত্রা পরিবার ও তার মিত্ররা এবং অন্যদিকে ছিল রাজপরিবার, জেনারেল ও বনেদি ধনী পরিবারের একটি জোট। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন থাকসিন। ২০০৬ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
এরপর জেল এড়াতে স্বেচ্ছায় নির্বাচনে চলে যান। তবে গত বছরের আগস্টে নাটকীয়ভাবে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে ছয় মাস হাসপাতালে বন্দি থাকেন থাকসিন। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়।
দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বার্থের সংঘাতের দায়ে তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে গত সেপ্টেম্বরে তার সাজা কমিয়ে এক বছর দেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন।
চলতি মাসের শেষের দিকে তার সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে থাকসিনের আইনজীবী উইন্যাট চার্টমনট্রি রয়টার্সকে বলেছেন, গত মাসে থাই রাজার জন্মদিন উপলক্ষে যেসব বন্দীকে রাজকীয় ক্ষমা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে থাকসিন অন্যতম। রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।