কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি বলেন, তবে তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুর্তিমান আতঙ্ক হচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ইতঃপূর্বে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছে থেকে বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে।
কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান চালানো হচ্ছে।