অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর অংশে অবস্থিত জেনিন শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। গত ২০ বছরের মধ্যে এটি তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
ইতিমধ্যেই এই অভিযানে অন্তত আটজন নিহত এবং শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া রামাল্লার কাছে আরেকজন নিহত হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর টার্গেট ছিল তিন প্রজন্মের শরণার্থীদের বাড়ি, যাদের অনেকেই এখন আবার পালিয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় এখন শরণার্থীরা আবারও গৃহহীন হয়ে পড়ছে। জেনিনের ডেপুটি গভর্নর কামাল আবু আল-রৌবের মতে, রবিবার গভীর রাতে অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় ৩০০০ ফিলিস্তিনি ইতিমধ্যেই শরণার্থী শিবির থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
ইসরাইল বলেছে এই শিবিরটি “সন্ত্রাসবাদীদের” আস্তানা যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং যুক্তি দিয়েছে যে এদের বিরুদ্ধে কঠোর শক্তি ব্যবহার করা তাদের ন্যায্য অধিকার যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সমর্থন করেছে।
ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোয়’ আঘাত হানতে জেনিন ও জেনিন ক্যাম্প এলাকায় ব্যাপক অভিযান চলছে।
আইডিএফ প্রায় ১০ বার ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া শত শত সৈন্য এতে অংশ নিচ্ছে। ইসরাইলিদের ভাষায় তাদের হামলার টার্গেট হলো ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল’ সেন্ট্রার।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জেনিনের ‘সন্ত্রাসী শিবিরে’ সামরিক অভিযান চলছে।
শরণার্বাথী শিবিরের বাসিন্দারা সিএনএনকে বলেছেন, বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার এলাকাটি থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। জেনিনের ডেপুটি মেয়র মোহাম্মদ জারার বলেন, উদ্বাস্তু শিবিরের বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে, বিদ্যুৎ ও পানিসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ইসরাইলি হামলায় নিহতদের পাঁচজন কিশোর বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে ক্যাম্প এলাকায় ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক মোহাম্মদ আল-সাদি।