চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজে অগ্নিকাণ্ডের কারণে পরিবেশের ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এ নির্দেশনা জারি করেন।
গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্ট এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণ, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ এবং এ ঘটনায় বর্ণিত ক্ষতি প্রশমন ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ দেবে।
কমিটির আহ্বায়ক পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস। কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারবার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের পরিচালক ড. আসিফুল হক।
এতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার। সদস্য হিসেবে আছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের উপ-পরিচালক মো. কামরুল হাসান।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিটি প্রয়োজনে অন্য যে কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার জানান, এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া কাঁচামাল কর্ণফুলীতে মেশার পর নদীর পানিতে অ্যাসিডের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ কারণে নদীর পানি মৎস্য ও জলজ প্রাণীর অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।
এসময় অনতিবিলম্বে চিনিকলের গোডাউনের পোড়া বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
গত ৪ মার্চ বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনিকলে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় ৬৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটসহ সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের মোট ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।