টাইটানিকের মতো আটলান্টিক সাগরের গভীরেই সলিল সমাধি হল নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানের। টাইটানের সব যাত্রীই মৃত! টাইটানিক জাহাজের নামের সাথে মিল রেখেই সাবমেরিনটির নামকরণ করা হয়েছিল।
ওই সাবমেরিনের সকল অভিযাত্রীকেই মৃত বলে ঘোষণা করল আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনী এবং টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া সংস্থা ‘ওশানগেট’।
আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, ‘টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে রোবট। সম্ভবত দুর্ঘটনার সময় সাবমেরিনটি ভিতরের দিকে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছিল।
অভিযাত্রীদের এখনই উদ্ধার করা সম্ভব হবে কি না তা বলা কঠিন। ঘটনাস্থলের পরিবেশ খুবই প্রতিকূল। মৃতদের পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা।’ অভিযানকারী সংস্থাও মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছে।
জানা গেছে ওশানগেট সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ, শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর ছেলে সুলেমান দাউদ, হামিশ হার্ডিং এবং পল–হেনরি নারজিওলেট টাইটানে ছিলেন। যাঁরা সকলেই মৃত। মনে করা হচ্ছে, প্রেসার চেম্বারের কোনও ক্ষতির কারণে সাবমেরিনটি ধ্বংস হয়েছে। ঠিক কখন সাবমেরিনটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা জানা এক প্রকার অসম্ভব বলে জানিয়েছে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাবমেরিনটিতে ফাটল ধরেছিল এবং জলের অত গভীরে প্রচণ্ড চাপে সেটি ফেটে যায়। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, ওশানগেট সংস্থার তৈরি ওই সাবমেরিন গত রবিবার পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট গভীরে নেমেছিল। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় টাইটান। নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজে নেমেছিল আমেরিকা এবং কানাডার সেনা। উপকূলরক্ষী এবং বিমানবাহিনীর সঙ্গে তল্লাশিতে নেমেছিল রোবটও। সেই রোবটই টাইটানিকের কাছেই একটি অন্য যানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় এবং পরে আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনী সেটিকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ বলেই চিহ্নিত করে। !