গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুরকে তার সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এই নির্দেশনা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিতে যোগদান করে নির্বাচনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এবারও কি জোটের নেতা হিসেবে এই আসনে ভিপি নুর বিএনপির সমর্থন নিয়ে জোট প্রার্থী হচ্ছেন।
এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন গোলাম মাওলা রনি। চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোলাম মাওলা বলেন, আসলে বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি। আর এটা নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়াও নেই। তবে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ যেমন শেখ হাসিনা অল-ইন-অল, তেমনি বিএনপিতে তারেক রহমান সাহেবের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এর বাইরে কিছু হবে না।
নুরুল হক এখন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি উল্লেখ করে গোলাম মাওলা আরও বলেন, এটা হলো বাস্তবতা। আপনি চিন্তা করেন, যেখানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা ফখরুল সাহেব দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে ভিপি নুরের অফিসে গিয়ে দেখা করে আসেন। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান থেকে শুরু করে সব সিনিয়র নেতা। উনি (তারেক রহমান সাহেব) যদি ওখানে (পটুয়াখালী–৩) মনোনয়ন দিতে চান কিংবা বরিশাল বিভাগে সমন্বয়ক হিসেবে জনাব নুরকে দায়িত্ব দিতে চান, এখন এটার সাথে ওনার কী আলাপ হয়েছে বা কী সিদ্ধান্ত, এটা আসলে দলের কারও প্রশ্ন করার মতো প্রয়োজনও নেই, দরকারও নেই, কারও সাহসও নেই।
গোলাম মাওলা বলেন, আমি তো বিএনপির কমিটিতে নেই। কোনো সিঙ্গেল কমিটিতেও নেই। আমাকে উনি (তারেক রহমান) কিছু বলেননি। আমাকে যদি বলতেন, আপনিও যান নুরু সাহেবের সঙ্গে গিয়ে এলাকায় তাঁর পক্ষে কাজ করেন, তখন আপনি প্রশ্ন করতে পারতেন। কিন্তু এখনো আমাকে কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, আমাকে রিজভী সাহেবও বলেননি, তারেক রহমান সাহেবও কিছু বলেননি। যদি ওনারা বলতেন কোনো কিছু, তখন আমি আমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতাম বা কিছু করতাম। এটাই আমার বক্তব্য।
এর আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ২২ অক্টোবরের এক পত্রে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে বিষয়টি জানানো হলেও বিজ্ঞপ্তিটি ২৭ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু ও সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়- ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাই নুরুল হক নুরের সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিষয়টি অতীব জরুরি উল্লেখ করে, সংশ্লিষ্ট আসনের থানা, উপজেলা বা পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।