নিজের স্ত্রীকে খুন করলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারপতি। জেফ্রি ফার্গুসন(৭২) নামে অভিযুক্ত এই ব্যাক্তি অরেঞ্জ কান্ট্রি সুপারিয়র আদালতের বিচারপতি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিজের স্ত্রী শার্লিকে(৬৫) হত্যার পর তিনি ফোন করে এক সহকর্মীকে জানান, “আগামীকাল আদালতে আসা হবে না, পুলিশি হেফাজতে থাকব।”
ঘটনার দিন বাড়ির কাছেই একটি রেঁস্তরায় খেতে যাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াতে জড়ান ফার্গুসন। শার্লির আইনজীবী জানিয়েছেন, তর্ক চলাকালীন এক সময় শার্লির দিকে বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়ার ভঙ্গি করেন ফার্গুসন। শার্লি পাল্টা বলেন, আসল বন্দুক দিয়েই খুন করো। এর পরেই কোমর থেকে বন্দুক বের করে স্ত্রীর বুক লক্ষ্য করে গুলি চালান বিচারপতি। ঘটনাস্থলেই মারা যান শার্লি। জানা গেছে, গুলি চালানোর সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ বিচাপতির বাড়ি পৌঁছে চমকে যায়। শার্লির দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৬ হাজার রাউন্ড গুলি। এর পরেই মার্কিন পুলিশ গ্রেপ্তার করে ফার্গুসনকে। আদালতে তোলা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, স্ত্রীকে খুন করার পর ফার্গুসন নিজেই ফোন করে ঘটনার কথা জানান পুলিশকে।
২০১৫ সাল থেকে বিচারপতি পদে থাকা ফার্গুসন আদালতে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন এটা নিছক দুর্ঘটনা। আদালত শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে ফার্গুসনকে। ৩০ অক্টোবর ফের তাঁকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।